পরীক্ষামূলক চলাচলে সফলতার পর কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো আধুনিক সি-ট্রাক ‘এসটি ভাষা শহীদ জব্বার’।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নৌপথে সি-ট্রাক চালু হওয়ায় মহেশখালীর প্রায় চার লাখ বাসিন্দাসহ পর্যটকদের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ায় দ্বীপটিতে পর্যটকদের আগমনও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
উদ্বোধনের পর সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে সি-ট্রাকটি কক্সবাজার থেকে যাত্রা শুরু করে এবং দুপুর ১২টার দিকে মহেশখালী জেটিঘাটে পৌঁছায়। সেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ সি-ট্রাক দেখতে ভিড় করেন। এসময় ছাত্রজনতা নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও সঙ্গে থাকা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
জনসভায় ড. সলিমুল্লাহ খান ভাড়া সাধ্যের মধ্যে রাখার পাশাপাশি দ্রুত আরও একটি সি-ট্রাক চালুর দাবি জানান। এসময় উপদেষ্টা বলেন, ‘৪০-৫০ বছর ধরে এ এলাকায় একটি চক্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। তাদের কারণে সি-ট্রাক চালু করতে আট মাস লেগেছে। মামলার কারণে ড্রেজিং কাজও থমকে ছিল।’
তিনি আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ প্রস্তাবিত ৫০ টাকার ভাড়া কমিয়ে এখন বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে মহেশখালী যেতে যাত্রীপ্রতি ৩৫ টাকা এবং নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘাট টোল বাবদ একবার ৫ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।
প্রতিদিন তিনবার করে চলাচল করবে ২৫০ যাত্রী ধারণক্ষমতার সি-ট্রাকটি। কক্সবাজার থেকে সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা ৬টায় সি-ট্রাক ছাড়বে। আর মহেশখালী থেকে ছেড়ে আসবে সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা ও বিকেল ৫টায়।
এই সি-ট্রাক চালুর মাধ্যমে সারা বছর ধরে ঝুঁকিহীন ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা পেল মহেশখালীবাসী ও পর্যটকরা।
[টিবিএন৭১/আরএস]