বিএসইসি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে মতিঝিল থেকে লংমার্চ করে বিএসইসি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কার্যালয় ঘেরাও করেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির সামনের সড়ক অবরোধ করে "অযোগ্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হঠাও দেশের পুঁজিবাজার বাঁচাও’ স্লোগান দেন।

এদিকে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিনিয়োগকারীকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।তবে তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীদের একটাই দাবি, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ১২৭ জন ছাত্রলীগ কর্মীকেও পদত্যাগ করতে হবে।

এ সময় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসইসি ভবন ঘেরাও করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের মূল ফটকের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মতিঝিলে জড়ো হন বিনিয়োগকারীরা।বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় বিএসইসির উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচির সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। তবে মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক বিনিয়োগকারী লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন।

বিএসইসির সামনে বিক্ষোভকাল বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের অর্থ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান না বুঝে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যে কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই বিএসইসির পদত্যাগ করা খুবই জরুরি। বিনিয়োগকারীদের এখন একটাই দাবি, বিএসসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।



[টিবিএন৭১/আরএস]