চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিতে কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে নিহত কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরামের মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন।
এছাড়া যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১০৮ জনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই ওয়াসিম আকরাম ছাত্র জনতার সমাবেশে অংশ নিতে বারকোড রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ‘ইন্ধনে’ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সমাবেশে হামলা চালায়। ওয়াসিমের বুকে ও নাভিতে হামলাকারীদের ছোড়া গুলি লাগে।
মামলার এজাহারে বাদী জোসনা বেগম বলেছেন, তার ছেলে আকরাম ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র।
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওইদিন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম এবং ওমরগণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্ত, মুরাদপুর এলাকার স্টিল ফার্নিচার দোকানের শ্রমিক মো. ফারুক নিহত হন।
মৃত্যুর পর ওয়াসিম আকরামকে নিজেদের কর্মী দাবি করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা হল। এর মধ্যে চট্টগ্রামে এটি দ্বিতীয় মামলা।
[টিবিএন৭১/আরএস]