চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে বন্দর–পতেঙ্গা (চট্টগ্রাম-১১) আসনের আওয়ামী লীগের টানা চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার পর তাঁকে নগরের পূর্ব মাদারবাড়ির মালুম মসজিদ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমএ লতিফ এলাকাটির স্থানীয় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে আসার পথে স্থানীয় বিএনপির নেতারা তাকে দেখে হট্টগোল শুরু করেন। পরে তিনি আত্মীয়ের বাসায় ফিরে আসেন। এ সময় ওই বাড়িতে গিয়ে কিছু লোকজন ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
এম এ লতিফের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খবর দিলে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।
চট্টগ্রামের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকেই এমপি নির্বাচিত হন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনিকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার ঘটনায় রনি আলোচিত।
[টিবিএন৭১/আরএস]