গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলােই) দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি অংশে হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলের ভেতরে কর্মরত সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজায় হামলা জোরদার করার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে। তাদের দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে আরব মধ্যস্থতাকারীদের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করছে দেশটি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ভূখণ্ডটিতে ৩৮ হাজার ৭১০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নিহতদের এই পরিসংখ্যানে বেসামরিক মানুষ এবং যোদ্ধাদের সংখ্যা আলাদা করে উল্লেখ করা হয় না। তবে গত এপ্রিলের শেষ নাগাদ গাজার এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, মৃতদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬৮০ জন শিশু, নারী এবং বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
[টিবিএন৭১/আরএস]