শাকিব-বুবলীর রুমে প্রবেশ নিয়ে অপুর মন্তব্যে তোলপাড়

বর্তমানে অপু-শাকিব-বুবলী ইস্যু প্রায়ই তোলপাড় থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অপু-বুবলী দুজনেই একে অপরকে নিয়ে মন্তব্য করেন ও মন্তব্যের জবাব দেন। এই ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে একটি অংশে ফের শাকিব-অপুকে নিয়ে মন্তব্য করেন বুবলী। যেখানে তিনি বলে ছিলেন, ‘সন্তান বীর ও তার বাবাকে নিয়ে যখন আমি রুমে সময় কাটাই তখন সেখানে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে অপু বিশ্বাসও এসেছেন।’ বিষয়টি নিয়ে এবার একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। 

শুরুতেই শাকিব খানের সঙ্গে বুবলীর ‘কোয়ালিটি টাইমে’ রুমে প্রবেশ মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন এই নায়িকা। সেদিন কী ঘটেছিল, সেটাই স্পষ্ট করেছেন তিনি।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মূলত সেদিন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও শাকিবের সঙ্গে আমাদের ইফতারের আয়োজন ছিল। যেহেতু এবারের রোজায় শাকিব ঢাকায় ছিলেন, তো সেভাবেই সকল আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতারের পরে যতদূর মনে পড়ে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাবার খাবে বলে শাকিব তার অফিস থেকে ফোনকলে আমাকে জানায়। আমি এর ৩০-৪০ মিনিট পর যখন শাকিবের বাসা থেকে সেই খাবারটা নিয়ে অফিসের দিকে যাই, তখনই বুঝে ফেলি যে শেহজাদ হয়তো বাবার কাছে এসেছে। কারণ দরজা খুলতেই দেখি বুবলীর মেকআপম্যান/কেয়ারটেকারকে। যে সব সময় শেহজাদের দেখাশোনা করে।’

অপু বলেন, ‘এরপর খাবারটা নিয়ে শাকিবের অফিসে গিয়েই দেখি শেহজাদের সাথে তিনিও (বুবলী) অফিসে এসেছেন। এ সময় আমার ও জয়ের সঙ্গে আমার ননদের মেয়েও ছিল। কিন্তু এটা বুবলী ভিন্নভাবে মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন। সেখানে রুমে কোয়ালিটি টাইমের কথা কেন বলা হয়েছে তা আমি বুঝিনি। তিনি এসব বলে কি মিন করতে চাইছেন তাও জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অফিস ফ্লোরের দরজা খুলে ভেতরে যেতেই আমি দেখি- শেহজাদ টিভিতে কার্টুন দেখছে আর বুবলী একটা চেয়ার বসে আছেন। আর শাকিব খান ঘুমিয়ে আছেন। তাদের সঙ্গে ওই অফিসে তখন শাকিব খানের দু’জন ব্যক্তিগত সহকারীও উপস্থিত ছিলেন। এটাকে তিনি কেন কোয়ালিটি টাইম বলেছেন জানি না। বিষয়টি হচ্ছে উনি এসব বলে নিজে ছোট হচ্ছেন, না অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করছেন-আমি জানি না।’

অপু বলেন, ‘উনি (বুবলী) বারবার একই কথা বলছেন- আমরা একটা কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছি। শেহজাদের উপস্থিতিতে তার এই কোয়ালিটি টাইমের কথা সামনে আনার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। এসবই মিথ্যা। তিনি কীভাবে বলতে পারেন- শেহজাদ তাদের (শাকিব-বুবলী) স্পেস দেয়। কি অদ্ভুত! সেই ছোট্ট বাচ্চা কীভাবে বুঝে নেয়, তার বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধু এটুকুই বলবো আল্লাহ যেন উনাকে হেদায়েত দান করেন। আমি খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত যে-এই সময়ে এসেও এসব নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।’






[টিবিএন৭১/আরএস]