বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জটিলতায় ১০ বছর পর শিক্ষা ক্যাডারে (ইতিহাস) নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন আফরোজা খানম নামে এক পরীক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক পদে তাকে নিয়োগের সুপারিশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।
জানা যায়, ১০ বছর আগে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস মৌখিক পরীক্ষাও দেন আফরোজা খানম। কিন্তু বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জটিলতায় তার সুপারিশ স্থগিত করে পিএসসি।
অবশেষে ১০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী শিক্ষা ক্যাডারে (ইতিহাস) নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন তিনি।
আফরোজা খানম ২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএসে আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। কিন্তু ২০১৩ সালে মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার পর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জটিলতার কারণে তার সুপারিশ কমিশন স্থগিত করে। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তার স্থগিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
মঙ্গলবার পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার্থী আফরোজা খানমের (রোল নম্বর: ০২৯৭৭৪) বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ–সম্পর্কিত বিষয়ে জটিলতা থাকায় তার সুপারিশ স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরে তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী স্থগিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক (ইতিহাস) পদে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে যে কোনো পর্যায়ে প্রার্থীর যোগ্যতার ঘাটতি ধরা পড়লে, দুর্নীতি, অসত্য তথ্য প্রদান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে বা কোনো গুরুতর ভুলত্রুটি ধরা পড়লে তার সুপারিশ/মনোনয়ন বাতিল করা হবে। মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সির প্রাক্–নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, ৪ হাজার ২০৬টি শূন্যপদের বিপরীতে ২০১২ সালের ১ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ২৮ জুন ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি।সূত্র: সময়
[টিবিএন৭১/এসএস]