গত ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের দ্বারা ৩ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সাংবাদিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে আইএফজে জানিয়েছে, ৩ সাংবাদিকের ওপর হামলা, হুমকি ও সরঞ্জাম ভাঙচুরের ঘটনায় আইএফজে নিন্দা জানাচ্ছে। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান, যাতে দেশের আসন্ন নির্বাচনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত থাকে।
আইএফজে বলছে, গত ৩০ নভেম্বর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোর সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনসহ দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা ও সরঞ্জাম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাকিব মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কিনা- জানতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকার সংবাদমাধ্যমের বরাতে সাংবাদিক সংগঠনটি জানায়, ওই নেতা ও তার সমর্থকরা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার আগে হুমকি দেয় এবং তার ও তার সহকর্মীদের সরঞ্জাম নষ্ট করে। সাংবাদিক রকিব উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে আমি তাকে এ বিষয়ে (আচরণবিধি ভঙ্গ) প্রশ্ন করলে তিনি (মোস্তাফিজুর রহমান) ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেন। তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন, মাটিতে ফেলে দেন। উপরন্তু তার সমর্থকরা যোগ দেয় ও আমার ওপর হামলা শুরু করে। তারা ইনডিপেনডেন্ট ও মাছরাঙা টিভির ক্যামেরা ভেঙে ফেলে ও মাইক্রোফোন জব্দ করেছে।’
রাকিবের ভাষ্যমতে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার সময় পাঁচজনের বেশি লোক উপস্থিত থাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে উল্লেখের পর সহিংসতা শুরু হয়। গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচন তদন্ত কমিটি সাবেক এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) জারি করে।
মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য। এর আগেও মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া, দলের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কটূক্তিসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য খবরের শিরোনামে এসেছেন।
[টিবিএন৭১/আরএস]